উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত স্কুল গুলোতে ফলাফল বিপর্যয়

বিশেষ প্রতিবেদক :

সারাদেশের ন্যায় ৬মে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় এবার উপজেলায় ফলাফল বিপর্যয় ঘঠেছে রোহিঙ্গা অধ্যূষিত এলাকার স্কুল গুলোতে। অভিভাবকেরা এর জন্যে রোহিঙ্গা প্রভাব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে দায়ী করেছেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার অন্যান্য এলাকার চেয়ে ফলাফলে খারাপ করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিদ্যালয় গুলোতে।

প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯সালের ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৬৫%। পাশপাশি বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৫৯%। থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের পাশের হার ৫৬%। এবং সর্বশেষ পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৪৩%। যাহা উপজেলার সর্বনি¤েœ।

ফলাফল বিপর্যয়ের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মনির আহমদ নামের একজন অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, রোহিঙ্গা আসার পর থেকে ছেলে/মেয়েরা আগের মতো মন দিয়ে পড়ালেখা করছেনা। বিভিন্ন কারনে এলাকার পরিবশে দিন দিন খারাপের দিকে এগোচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে ছেলে/মেয়েরা। এসব কারনে আজকে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে পালংখালী ইউনিয়নের যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো রয়েছে এসব বিদ্যালয় গুলোতে পড়ালেখায় প্রভাব পড়েছে। কারণ এসব বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগকৃত বেশ কিছু প্যারা শিক্ষক ছিল। এতে সম্মানী দেওয়া হত ৩ থেকে ৪হাজার টাকা। রোহিঙ্গা আসার পর বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়া শুরু করলে ওই সব প্যারা শিক্ষককেরা স্কুল ছেড়ে এনজিও চলে আসে। যার কারনে বিদ্যালয়ের ফলাফলের এই করুন অবস্থা।

এছাড়াও বর্তমানে ৫ম শ্রেণী পাশ করলেই ছেলে/মেয়েরা স্মাট ফোন ব্যবহার শুরু করে দেয়। পড়ালেখা বাদ দিয়ে দিন রাত ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার কারনে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।